পার্থজিৎ চন্দ

পার্থজিৎ চন্দ

জন্ম পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলায়। কবিতা লেখার শুরু শূন্য দশকের প্রথম দিকে এবং কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ সেই দশকেরই একদম শেষে। প্রথম কবিতার বই 'ছদ্মনকশা ও প্রসাদের গান' প্রকাশিত হয় কৃত্তিবাস থেকে। তারপরে একাধিক্রমে প্রকাশিত হয়েছে চোদ্দটি কাব্যগ্রন্থ ও কাব্যপুস্তিকা, দুটি প্রবন্ধসংকলন, একটি গল্প ও উপন্যাস। ভূষিত হয়েছেন দেবকুমার বসু যাপনচিত্র কবিতা সম্মান, বাসুদেব দেব সংসদ কবিতা সম্মাননাসহ একাধিক পুরস্কারে। অংশগ্রহণ করেছেন ন্যাশলাল সিম্পোসিয়াম ফর পোয়েটস-২০২৪-এ । অবসর যাপনে প্রিয় ছবি দেখা ও গান শোনা

কয়েকটি লেখা

উর্বি ইসলামের ছবি


সৌরপথ ও পাইনের মধ্যে আজ
হু-হু করে বয়ে যাচ্ছে হাওয়া; দূর পাহাড়ের বুকে
বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।
একমাত্র এ-কটেজ আজ শনাক্ত করেছে ক্যাকটাস-ঘর, আর
তার মধ্যে জমে থাকা অন্ধকার

ভোর হলে বোঝা যাবে, তার জরায়ুতে
ধরা ছিল সৌর-প্রতারণা। আর কিছু নয়,

কুয়াশার ভেতর শুধু ছেয়ে থাকা জেন-সাধকের হাসি

উর্বি ইসলামের ছবি

এবারও তুমি খুঁজে পেলে না সেই ঘর
স্যালামান্ডারের প্রজনন থেকে কিছুটা দূরের।
মনে পড়ল গতজন্মের শুঁড়িপথ, মন্দির-
লোকাল গাইডের মুখে বাঘের গল্প

ঘণ্টার ভেতর কে যেন বাজিয়ে দিয়েছিল জাতককাহিনি

এ-বারও মনে হল, যে ঘরে দেওয়াল নেই
তাতে তুমি বন্দি হয়ে আছো, আর
চাবি কেউ ইচ্ছাকৃত হারিয়ে ফেলেছে
দূর গিরিখাদে


জাহাজঘরের মধ্যে জলে চিহ্ন নেই, শুধু
সমুদ্রের গর্জন ভেসে আসছে দূর থেকে। কাল্পনিক জলে
ঘুরে যাচ্ছে প্রপেলর। জল থেকে আকাশকে আড়াল করছে

নিজেকে পৃথক করে নাবিকও ঢুকে পড়ছে
জাহাজের আত্মার মধ্যে, আর ফিসফিস করে বলছে
মনে রেখো এই জাহাজঘরের স্মৃতি
ড্রাই-ডক থেকে গমনপথের রক্তের জলীয়তা


উড়ে যাচ্ছে অন্ধপাখি

তার গানের ভেতর জন্ম নিয়েছিল
এ-পাহাড়

সমস্ত সকাল যেন অন্ধশিশু-
অন্ধমায়ের দিকে হাসি মুখে বসে থাকা
শুধু


কমোড নিয়ে শিল্পকলা শেষে কমোডোত্তর শিল্পকলা এসেছিল। ছিলেন সুভদ্র গাইড। গ্যালারির প্রথম দরজা খুলে শূন্যতা, দ্বিতীয় দরজা খুলে শূন্যতা, তৃতীয় দরজা খুলে শূন্যতা

শূন্যতা, শূন্যতা, শূন্যতা

আরও কয়েকটি দরজা খোলার পর গাইড দেখিয়েছিলেন হলদেটে, ছোট্ট কমোড। বলেছিলেন, নিন, এবার এখানে পেচ্ছাব করুন… শিল্প ও শিল্পীর মধ্যে অভিন্নতা সূচিত করতে এখানে প্রস্রাব বাধ্যতামূলক

আর, না-পেলে, অন্তত বমি করে দিন

ছবি : উর্বি ইসলাম

আরো পড়ুনকয়েকটি লেখা