শৌভিক রায়

শৌভিক রায়

জন্ম অবিভক্ত জলপাইগুড়ির ফালাকাটায়। ফালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়, দিনহাটা কলেজ শেষে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ, বি এড। বর্তমানে কোচবিহারের বাসিন্দা। পেশা শিক্ষকতা (কোচবিহার মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়)। উত্তরবঙ্গ সংবাদ, আনন্দবাজার পত্রিকা, আজকাল ইত্যাদি পত্রিকার নিয়মিত কলমচি। লেখেন বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতেও। সম্পাদনা করেন মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা (মুদ্রিত ও অনলাইন)। তার প্রকাশিত গ্রন্থ - ইছামতির স্বপ্নাদেশ ও অন্যান্য, বৃত্তপথ, ডুয়ার্সের নোটবুক, মানচিত্র দাঁড়িয়ে, বধ্যভূমি আর ভালবাসা, মুজনাইয়ের বালক, সুরমা কলিং, মেঘ মেঘ বাদল বাদল, গ্রিন করিডোর, GOআ, শব্দ ছবির ডুয়ার্স, চেনা উত্তর অচেনা উত্তর, ভাবনা ও নির্মাণ, বোকামির এককাল। ত্রিবৃত্ত পুরস্কার, হিতেন নাগ স্মৃতি পুরস্কার, লক্ষ্মী নন্দী স্মৃতি পুরস্কার, ডঃ বি সি রায় মেমোরিয়াল কমিটির শিক্ষা সম্মান সহ বিভিন্ন সম্মাননা ও পুরস্কার প্রাপক। লেখা ও সম্পাদনার পাশাপাশি শখ হল ছবি তোলা ও ভ্রমণ।

পরিযায়ী

চিত্রদীপ দাশের ছবি

টিপ টিপ বৃষ্টিতে মুজনাইয়ের জলে তরঙ্গ উঠছে।
উত্তরের আকাশে মেঘ থাকলেও নীল পাহাড়টা উঁকি দিচ্ছে মাঝেমাঝে।

বাচ্চু পুরোহিতের সঙ্গে গলা মেলায় তুসু গোত্রে অসমতপিতা সুরেশ শর্মা বাসুরূপত ত্রিপ্যতামিদম তিলোদকম গঙ্গা জলম ভা তসমই স্বধা নমঃ, তসমই স্বধা নমঃ, তসমই স্বধা নমঃ।

হাতের পিণ্ডটা ফেলে দিয়ে আবার একটা তোলে।
মেলায় গলা, গোত্রে অসমানমাতা যূথিকা দেবী বাসুরূপাস্ত ত্রিপ্যতামিদম্ তিলোদকম গঙ্গা জলে তস্মৈ স্বধা নমঃ, তস্মৈ স্বধা নমঃ, তস্মৈ স্বধা নমঃ। আবার ফেলে দেয় পিণ্ড।

চিত্রদীপ দাশের ছবিশীত চলে গেলেও মুজনাইয়ের জল ঠান্ডা। জলে নামতেই ওপরের ব্রিজে ঝমঝম শব্দ।
মালগাড়ি যাচ্ছে। কেঁপে ওঠে তুসু। নদী থেকে পাথর তুলে এলোপাথাড়ি ঢিল ছোঁড়ে মালগাড়িটার দিকে।
বিড়বিড় করে কী যেন বলে। আবার ঢিল ছোঁড়ে!
ট্রেন চলে যায় দ্রুত। একটা ঢিলও লাগে না গাড়ির গায়ে।

হাউহাউ করে কেঁদে ওঠে তুসু……যদি ক্লান্ত না হত সেদিন বাবা-মা…..যদি না ঘুমিয়ে পড়ত রেললাইনে….

তুসুর কান্না অবশ্য কেউ দেখে না।
বৃষ্টি মুছিয়ে দেয় তুসুর চোখ

ছবি: চিত্রদীপ দাশ

আরো পড়ুনপরিযায়ী