টিপ টিপ বৃষ্টিতে মুজনাইয়ের জলে তরঙ্গ উঠছে।
উত্তরের আকাশে মেঘ থাকলেও নীল পাহাড়টা উঁকি দিচ্ছে মাঝেমাঝে।
বাচ্চু পুরোহিতের সঙ্গে গলা মেলায় তুসু গোত্রে অসমতপিতা সুরেশ শর্মা বাসুরূপত ত্রিপ্যতামিদম তিলোদকম গঙ্গা জলম ভা তসমই স্বধা নমঃ, তসমই স্বধা নমঃ, তসমই স্বধা নমঃ।
হাতের পিণ্ডটা ফেলে দিয়ে আবার একটা তোলে।
মেলায় গলা, গোত্রে অসমানমাতা যূথিকা দেবী বাসুরূপাস্ত ত্রিপ্যতামিদম্ তিলোদকম গঙ্গা জলে তস্মৈ স্বধা নমঃ, তস্মৈ স্বধা নমঃ, তস্মৈ স্বধা নমঃ। আবার ফেলে দেয় পিণ্ড।
শীত চলে গেলেও মুজনাইয়ের জল ঠান্ডা। জলে নামতেই ওপরের ব্রিজে ঝমঝম শব্দ।
মালগাড়ি যাচ্ছে। কেঁপে ওঠে তুসু। নদী থেকে পাথর তুলে এলোপাথাড়ি ঢিল ছোঁড়ে মালগাড়িটার দিকে।
বিড়বিড় করে কী যেন বলে। আবার ঢিল ছোঁড়ে!
ট্রেন চলে যায় দ্রুত। একটা ঢিলও লাগে না গাড়ির গায়ে।
হাউহাউ করে কেঁদে ওঠে তুসু……যদি ক্লান্ত না হত সেদিন বাবা-মা…..যদি না ঘুমিয়ে পড়ত রেললাইনে….
তুসুর কান্না অবশ্য কেউ দেখে না।
বৃষ্টি মুছিয়ে দেয় তুসুর চোখ
ছবি: চিত্রদীপ দাশ