অড়হর ক্ষেতে যাবো না বলে কোনও কথা দিইনি।
কখনও বলিনি, তোমার নয়নতারায় ফুঁ দেবো না। এসব কথা দিই না আমি।
যে-ঠাকুরঘরের দরজা এঁকেছ সাদায় কালোয়, বিনা স্নানে ঢুকে পড়তে পারি সেই গ্রাউন্ড জিরোয়।
ম্লান গরদ দেখে একথাও বলিনি যে তোমার হারানো অন্তরবাস খুঁজে দেবো মন্ত্রবলে।
যে জ্যোৎস্না মেঝেতে পড়ে আছে,
তাকে এই অসময়ে খুজে দিতে বোলো না।
যে-কালো ত্রিভুজে অঙ্ক ভুল হয় তার কোনও অতিভুজ নেই। উপপাদ্য নেই।
সব এক্সট্রা সবসময় মেলে না।
প্রবঞ্চক পুরুষ জানে
রবিশস্যের রাতগুলিতে উষ্ণ হয়ে ওঠে কানের লতি।
গলনাঙ্কে পৌঁছে যেতে পারে জার্মান সিলভারের স্টাড।
প্রহেলিকাময় তসর অড়হর ক্ষেতের শেষ যবনিকা। জানো বোধহয়।
এদিকে ডলবি সাউন্ডে বেজে উঠল শেষ ঘন্টি। চরাচর অন্ধকার।
এখন আর কোনও প্রম্পটার নেই। মঞ্চসজ্জা নেই। উইংসের আড়ালে নেই কোনও তৃতীয় নয়ন।
এই দ্রাবিড় মালভূমিতে অবাঞ্ছিত প্রপস্ রেখো না মহীয়সী।
এ তোমার নদীমাতৃক, জোনাকিবহুল স্বরলিপি নয়। মালভূমির সবটাই পাথর। রক সলিড।
ছবি : অদ্রীশ সিংহ