ঠাকুরদাদা
গান জাগছে। আনন্দের প্রপাত ঝরছে
ঘর জুড়ে। তবু কেন অন্ধকার ভেসে ওঠে এত?
বরানগরের ছেলে, সাতাশ- আটাশ, এসে
ঠাকুরকে প্রশ্ন করে বসে।
পরমহংস হাসলেন, বুঝেছি, পড়ছে না ঘাটে ঘাটে
চাষা কতদিন খাটছে, পুকুরের জল তবু
ক্ষেতে আসছে না…
হঠাৎ একদিন এল, অকস্মাৎ, কল্লোল আনন্দ
বয়ে আনে
রুখাশুখা ঘরজুড়ে মল্লারের ধ্বনি শোনা গেল…
ছবি: অদ্রীশ সিংহ
কেদার
পৌষমাস। সোমবার। রাধাভাবে ব্যাকুল ঠাকুর
বৃন্দাবনলীলা-মাতোয়ারা। কেদার চাটুজ্যে এসে
প্রণাম করলেন, তাঁর
অন্তরে গোপীর ভাব। গাইতে গাইতে সমাধিতে
নিশ্চল ঠাকুর
হালিশহরের যাত্রা কলিকাতা অভিমুখে দক্ষিণেশ্বরের
দরজায় থামে কিছুক্ষণ
পান্থপাদপের নীচে কেদারের অনুরাগ
সরযূনদীর মতো ধারাবতী হল
আলো জ্বলল অন্তরীক্ষজুড়ে…
ছবি: অদ্রীশ সিংহ